ইংরেজিসহ যেকোন ভাষা শেখার সহজ ও সঠিক পন্থা

ভাষা একটি শব্দ। বিভিন্ন ভাষায় এই ভাষা শব্দকে প্রকাশ করা যেতে পারে। কিন্তু ভাষার আবেগ সকলের অন্তরের গভীরে মিশে থাকে। পৃথিবীতে অগণিত জাতি সত্তার মনের ভাব প্রকাশের জন্য অগণিত ভাষার ব্যবহার রয়েছে। কিন্তু সব ভাষারই একটা আলাদা মাধুর্য এবং স্বতন্ত্র পরিচয় রয়েছে। যেটা অন্য কোন জাতির ভাষার সাথে মেলানো যাবেনা। সকলের নিজস্ব মাতৃভাষা এই তার নিকট সর্বোত্তম। কেননা সে ভাষার মাধ্যমেই সে তার মনের ভাব প্রকাশ করা শিখেছে। যেটা অন্য ভাষার মাধ্যমে তার মনের ভাবটা সঠিকভাবে প্রকাশ করতে পারবেনা। অর্থাৎ বোঝানো হচ্ছে তার নিজস্ব জাতির ভাষা যেটা মায়ের কাছ থেকে শিখেছে। সেটা ছাড়া তার পরিবারের মধ্যেই সে অন্য ভাষার মাধ্যমে তার ভাবটা সঠিকভাবে প্রকাশ করতে পারবেনা। ভাষার এই যে স্বকীয়তা, এই যে ব্যবহার, সেটা আসলে এসেছে প্রশিক্ষণ থেকে। মায়ের কাছ থেকে ছোটবেলায় যে ভাষা শিখতে পেরেছে, সেটাই তার পরিচয় বহন করছে। তার জাতিসত্তার ও পরিচয় বহন করছে এই ভাষার মাধ্যমেই। সে তার জীবন জীবিকা অতিবাহিত করবে। আর তাই ভাষার মূল্য দেওয়া একটি জাতির সদস্য হিসেবে অনেক বড় এবং বিশাল। ভাষা আবিষ্কার হয়েছে মনের ভাব প্রকাশ করতেই। কালের বিবর্তনে কোন একটা জাতির ভাষা মুখে মুখে প্রচলিত হতে হতে অনেক পরিবর্তনই হয়ে যায়। ভাষার নিজস্ব কোন ধ্রুবক প্রয়োগ নেই। তাই আমরা দেখতে পাবো একই ভাষার মধ্যেও বিভিন্ন অঞ্চল ভেদে ভাষার পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়েছে। যেটা আমাদের দেশের ভাষার ক্ষেত্রেই আমরা লক্ষ্য করলে পেয়ে যাব। যেমন আমাদের বিভাগের প্রত্যেক বিভাগের ভাষার মধ্যেই নিজস্ব একটা স্বকীয়তা রয়েছে। কিন্তু সবাই বাংলা ভাষাতেই ওদের মনের ভাব প্রকাশ করছে। একটা কথা আছে না চট্টগ্রামের ভাষা, আর সিলেটের ভাষা, নোয়াখালীর ভাষা, বরিশালের ভাষা। এরমধ্যে প্রচলন রয়েছে একটি কথার হাস্যকৌতুক হিসেবেই বলা হয় চট্টগ্রামে গিয়ে বাংলা ভাষা শহীদ হয়েছে আর সিলেটে আহত।

আমাদের টপিক হচ্ছে ইংরেজি নিয়ে তো ভাষা নিয়ে আমরা এত কথা কেন বলছি? কারণ ইংরেজিও একটি ভাষা। আর যে ভাষাটি ইংরেজদের থেকে আমরা পেয়েছি। এখন বিভিন্ন জাতিসত্তার কথা বলে আমরা প্রত্যেক জাতিরই নিজস্ব ভাব আদান-প্রদানের সংকেত হিসেবে ভাষার প্রয়োজনীয়তা কে বোঝানোর জন্য এই উপরের আবহটা ব্যক্ত করেছি। আমরা জানি দীর্ঘ একটা সময় ধরে ইংরেজ রাই এই উপমহাদেশ এবং পরবর্তীতে পুরো বিশ্বকে শাসন করেছে। আর তাই তাদের ভাষার প্রয়োগ পুরো পৃথিবীতেই ছড়িয়ে গিয়েছে। এখন এই ইংরেজি ভাষাটাই পুরো বিশ্বের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন এবং মনের ভাব বুঝিয়ে বলার জন্য প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। আমরা তো আমাদের মাতৃভাষা সবসময়ই শিখে থাকি জন্মের পর। কিন্তু সেই একি মাতৃভাষা সকল জাতির একই নয় বলে আমরা আমাদের মাতৃভাষা দিয়ে মনের ভাব গিয়ে প্রকাশ করতে পারবো না। তাই মনের ভাব একটা ভাষার সকল জাতি ও দেশের মানুষের কাছে প্রকাশ করার জন্য ইংরেজি ভাষাকেই আন্তর্জাতিক ভাষার মানদন্ড হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

আর তাই মাতৃভাষা যেভাবে আমাদের মনের মধ্যে গেতে ফেলতে পারি। সেই বিষয়টা কি অন্যান্য ভাষা শেখার ক্ষেত্রেও আমাদের প্রয়োগ করতে হবে। যখন আমরা ছোট থাকি মায়ের সাথেই আমাদের শৈশব পর্যন্ত কেটে যায়। তো ছোটবেলায় যে সকল ভাষা সকলের থেকে দেখে, শুনে, শিখতে পারি সেটা অন্যান্য ভাষা হয়, শেখা হয় নিজের থেকে না হয় আমাদের একাডেমিক লাইফে। কারণ একাডেমিক লাইফে আমরা ইংরেজি ভাষা শেখার জন্য আলাদা সাবজেক্টই পেয়ে যাই।

আর মাতৃভাষা শেখার জন্য আলাদা সাবজেক্ট পেয়ে যাই। ইংরেজি ভাষা আন্তর্জাতিক ভাষা হওয়ায় আমাদের সকলকেই সেটাকে গ্রহণ করতে হয় অন্যথায় আমরা আমাদের মনের ভাব কারো কাছে প্রকাশ করতে পারবো না আন্তর্জাতিকভাবে। তাই মাতৃভাষ আমরা যেভাবে শিখে থাকি ইংরেজি ভাষাকে ও সেভাবেই আমাদের রপ্ত করতে হবে। কেননা ইংরেজি ভাষা ইংরেজদের মাতৃভাষা। আর ভাষার প্রয়োগ ই হচ্ছে আমরা যা বলতে চাচ্ছি তা অই যেন ভাষার লোক সহজে বুঝতে পারে। তাই ইংরেজি ভাষাকে আমরা তো মায়ের থেকে শিখতে পারবো না। কিন্তু একাডেমিকভাবে যেভাবে আমাদের শেখা উচিত সেই বিষয়গুলোকে ঠিক মায়ের কাছ থেকে শেখার মত করেই শিখব। কি রকম? আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন শুধু মা নয় পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ওনাদের ভাষার মাধ্যমে যেটা আমাদের বুঝাতেন, সেই জিনিসটাই আমরা নিজেদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতাম। তো একইভাবে অন্য কোন ভাষা শিখতে হলে ঠিক একই জিনিসটাকে সেই জাতির ভাষায় যেভাবে প্রকাশ করা হয়, চিহ্ন, উচ্চারণ এগুলো শেখার মাধ্যমে শিখতে হবে। কারণ একটি ভাষায় কেবল কথা বলাই নয় লেখার গুরুত্ব অনেক বেশি। তাই আমাদেরকে পূর্বে যেভাবে লেখা শেখানো হয়েছে ঠিক তেমনভাবে ইংরেজি ভাষাকে ও লেখনীর মাধ্যমে আমাদের একইভাবে বুঝতে হবে এবং শিখতে হবে। তো লিখার ক্ষেত্রে যেই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা আমরা প্রথমেই শিখে থাকি সেটা হচ্ছে বর্ণ। যেটাকে আমরা ইংরেজিতে বলে থাকি আলফাবেট। প্রত্যেক ভাষার ই নিজেদের এরকম নিজস্ব বর্ণ রয়েছে। যে সকল বর্ণ প্রয়োগ করে একটি শব্দ, আর অনেকগুলো শব্দের প্রয়োগের মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ বাক্য তৈরি করা হয়। আর সেই বাক্যের মাধ্যমে কোন বিষয়কে আমরা বোধগম্য করতে পারি। আমরা বুঝতে পারি।

ভাষা তো আমরা বলতে শিখেছি কোন একটা নির্দিষ্ট বস্তু বা ব্যাক্তি প্রথমে চেনার মাধ্যমে। আমরা বস্তুটাকে দেখতাম। আমাদের সেই বস্তুটাকে দেখিয়েই চেনানো হতো আর নামকরণ করা হতো। এই নামটাই আমাদের বলার জন্য প্র্যাকটিস করানো হত। এভাবে করেই আমরা এক একটা জিনিস চিনে চিনে নামকরণ করতে শিখেছি। ঠিক তদ্রূপভাবে অন্যান্য ভাষা লেখার ক্ষেত্রেও এবং বলার ক্ষেত্রেও আমাদের ওই ওই বস্তুটাকে ওই ভাষায় কিভাবে প্রকাশ করছে সেটাই কেবল শিখতে হবে।

আর প্রত্যেকটা বস্তুকেই নির্দিষ্ট শব্দের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। তাই আমাদের ওই ভাষার শব্দে বস্তুটাকে চিনতে হবে। তাই আমাদের ইংরেজি ভাষা শেখার ক্ষেত্রেও ঠিক একই রকম কৌশল কে অবলম্বন করতে হবে।

অনেক তো ইন্ট্রো হল। মনে হচ্ছে অনেকটা বোঝানো গিয়েছে। সমস্যা নেই আমরা ব্যাপারগুলোকে ভেঙ্গে ভেঙ্গে জোর দিয়ে আরো সহজ করে বোঝানোর চেষ্টা করতেই থাকবো।

এবার আমরা চলে আসি কিভাবে আমরা ইংরেজি ভাষাকে রপ্ত করতে পারবো দৈনন্দিন ভাবে মাতৃভাষা প্রয়োগ করার মত সহজ করে।

মাতৃভাষায় যেমন আমরা জিনিস কে নামকরণ করে চিনতে শিখেছি এবং অন্যকে যেভাবে আমরা শব্দের মাধ্যমে ইঙ্গিত করে থাকি। ঠিক তেমনভাবে ওই ওই জিনিসগুলোর ইংরেজি শব্দার্থ আমাদের জানতে হবে।

ব্যাকরণ আমাদের প্রয়োজন বাক্যটা কে রেডি করতে। বাক্যকে আমরা তৈরি করতে একটা ধ্রুবক গঠন মনে রাখতে হবে। সেটা আমরা সাবজেক্ট বলে থাকি যেটা বাংলায় কর্তা। তারপর থেকে ভার্ব যেটাকে আমরা বলি ক্রিয়া। আর শেষ অংশে অবজেক্ট বা কর্ম। সংক্ষেপে আমরা যদি বলি একটি বাক্য গঠন করতে ৩ টি উপাদান থাকা চাই।

১। সাবজেক্ট(subject) = কর্তা

২। ভার্ব (verb) = ক্রিয়া

৩। অবজেক্ট (object) = কর্ম

অনেক সময় আমরা ক্রিয়া এবং কর্মকে গুলিয়ে ফেলি। ভার্ব কে আমরা কর্ম মনে করে ফেলতে পারি। কিন্তু বাংলা ব্যাকরণ যাকে কর্ম বলবে সেটা হচ্ছে অবজেক্ট। আর ভাবকে সে ক্রিয়া বলবে। তো ব্যাকরণ কি আমরা সূত্রের মতো করে বর্ণনা করতে পারিনা। এখানে নিয়মগুলো গাণিতিক নয়। সঠিক নিয়ম গুলো আমাদের মনে রাখতে হবে নিজের মতো করে সূত্র বানানো যায় না তাই আমাদের আমরা যারা পড়াশুনার সাথে যুক্ত থাকি তারাই সঠিকভাবে প্রকাশ করতে পারি বলতে পারি লিখতে পারি। তো এই সাবজেক্ট, ভার্ব আর অবজেক্ট কে চেনা বড় কঠিন কোন কাজ নয়। আর বাক্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খন্ডবিচ্ছেদ হলো পার্টস অব স্পিচ ( parts of speech)। যেটা বাংলায় আমরা বলে থাকি ছোট দুই বর্ণের শব্দে। যেটা হলো ‘পদ’। আর এই ইংরেজি part মানে অংশ আর speech মানে বক্তব্য বা বাচ্য। অর্থাৎ যেটা মুখ দিয়ে বলা হয়েছে। তাহলে অই লাইনটার অনেকগুলো অংশ দিয়েই তো মনের ভাব টা প্রকাশ পেয়েছে। তাহলে সেই অংশগুলোকেই ভাগ করে ফেলেছে ৮ টি ভাগে। অই ৮ ভাগের মধ্যেই আমরা ওই অংশগুলোকে চিনে ফেলতে পারলেই পুরো বাক্য গঠন করা শিখে ফেলতে পারব। এগুলোই হচ্ছে ব্যাকরণ। আর লেখার জন্য আমাদের ব্যাকরণ জানা অনস্বীকার্য। মুখে আমরা বলে অনেক কিছুই বুঝিয়ে ফেলতে পারি। সেটা একটি শব্দ জানা থাকলেও কোন কিছুকে নির্দেশ করে বোঝানো সম্ভব। কিন্তু লিখতে গেলে সেটা পূর্ণ বাক্য রূপ না পেলে ভাবটা পাঠকের কাছে অসাড় ই থেকে যাবে। তাই ব্যাকরণ চর্চাটা ও আমাদের সঠিকভাবে রপ্ত করতে হবে। তবে এটা কোন রকেট সাইন্স মোটেও নয়। খুবই সহজ এবং সাবলীল একটি চর্চা৷ চর্চাই কেবল আমাদের বেশ অল্প দিনেই ইংরেজি ভাষায় দক্ষ করে তুলতে পারে।

তাহলে একেবারে সংক্ষেপে যদি পূর্ণ ভাবটি বলি। ইংরেজিকে সহজভাবে রপ্ত করতে হলে আমাদেরকে আমাদের চারপাশের সকল বস্তু আর দৈনন্দিন কথাবার্তায় যে সকল শব্দ গুলো ব্যবহার করে থাকি সেগুলোর ইংরেজি শব্দার্থ ও প্রতিশব্দ গুলো আগে জানা ও প্রয়োগের মাধ্যমে স্মৃতিতে সংরক্ষণ রাখা৷ তারপর ব্যাকরণ শেখা ও প্রয়োগের মাধ্যমে একটি শুদ্ধ ও পরিমার্জিত বাক্য গঠন। আর যার জন্য প্রয়োজন অধ্যবসায়। অধ্যবসায় শব্দের ইংরেজি অর্থটি কমেন্টে জানান।

Leave a Comment